লবঙ্গ দিয়ে চা বানানোর নিয়ম ও ৭ টি উপকারিতা জেনে নিন

লবঙ্গ দিয়ে চা বানানোর নিয়ম ও চারটি উপকারিতা সম্পর্কে আজকে আমি আর্টিকেলটিতে আপনাদেরকে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব। সচরাচার আমরা সকলে লবঙ্গ দিয়ে চা বানিয়ে খেয়ে থাকি। তবে এর সঠিক নিয়ম না জানার কারণে সেই রকম সুস্বাদু হয় না।

লবঙ্গ-দিয়ে-চা-বানানোর-নিয়ম-ও-৭-টি-উপকারিতা


আজকেরে আর্টিকেলটি লবঙ্গ দিয়ে চা বানানোর নিয়ম ও এর উপকারিতা। ঠান্ডা বা সর্দি কাশিতে লবঙ্গ চায়ের গুরুত্ব। পাশাপাশি জানতে পারবেন লবঙ্গ চা কখন খেলে শরীরে বেশ উপকারিতা পাওয়া যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য আপনাকে আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে যেতে হবে শেষ পর্যন্ত।

পেজ সূচিপত্রঃ  লবঙ্গ দিয়ে চা বানানোর নিয়ম ও শার্টটি উপকারিতা জেনে নিন

লবঙ্গ চা খাওয়ার গুনাগুন সম্পর্কে

লবঙ্গ চা খাওয়ার গুনাগুন সম্পর্কে জানার পাশাপাশি লবঙ্গ দিয়ে চা বানানোর নিয়ম ঔষধটি উপকারিতা সম্পর্কেও আমরা জেনে নেব আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে। সাধারণত আপনি যদি হঠাৎ করে ঠান্ডা এবং সর্দি জ্বর কাশিতে আক্রান্ত হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে লবঙ্গ চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

সাধারণত আমাদের জ্বর সর্দি কাশি হলে মুখে ছাদ হারিয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে আপনি যদি লবঙ্গ দিয়ে চা তৈরি করে খেতে পারেন তাহলে বেশ উপকারিতা পাবেন এবং পাশাপাশি আপনার মুখের স্বাদ ফিরে আসবে। আপনি যদি চান না বানিয়ে খেতে পারেন সে ক্ষেত্রে লবঙ্গ মুখে নিয়ে চাপালেও মুখের স্বাদ ফিরে আসবে।

সাধারণত আমাদের গ্রাম অঞ্চল বলেন শহর অঞ্চল বলেন সব জায়গাতেই লবঙ্গ পাওয়া যায়। আপনার মুখে যদি নিয়মিত দুর্গন্ধ বের হয় সেক্ষেত্রে লবঙ্গ ব্যবহার করতে পারেন তাহলে খুব দ্রুত গতিতে এই সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে। তবে মনে রাখবেন যে লবঙ্গ চিবিয়ে খাওয়ার চেয়ে চা দিয়ে খাওয়া শরীরের জন্য বেশ উপকারী।

লবঙ্গ চা বানানোর নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

সাধারণত আমরা প্রতিটি ঘরে ঘরেই চা খেয়ে থাকি। অনেকে আদা চা খান তার পাশাপাশি টা এর মধ্যে তেজপাতা পুদিনা চা ও লেবু চা খেয়ে থাকেন। খুব কম সংখ্যক লবঙ্গ চা খান। লবঙ্গ চা বানানোর জন্য প্রথমে আপনাকে একটি পাত্রের পরিমাণ মতো পানি নিয়ে চুলাতে ফুটিয়ে নিতে হবে 15 মিনিট ধরে। 

পানিগুলা ভালোভাবে ফুটে গেলে এর মধ্যে এক চা-চামচ লবঙ্গ ফেলে দিয়ে পুনরায় কিছুক্ষণ ধরে পানি গুলো ফুটাতে থাকতে হবে। পানিতে লবঙ্গের একটি ঘ্রাণ বের হলে তখন ফুটন্ত পানি চুল থেকে হালকা আছে নিতে হবে। হালকা আছে নেয়ার পরে যখন লবঙ্গের সম্পূর্ণ কস্টা বেরিয়ে যাবে তখন এটি চুলা থেকে নামিয়ে রাখুন।

আরো পড়ুনঃ  জবা ফুলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

নামিয়ে নিয়ে কোন ছাকনির সাহায্যে ছেঁকে নিয়ে কাপে করে পরিবেশন করতে পারেন। তবে লবঙ্গ চা এর ক্ষেত্রে একটু উষ্ণ গরম ভাব থাকে সেই সময়তেই চাটা খাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ সময় যদি আপনার গলাতে হালকা ব্যথা বা কাশি থেকে থাকে তাহলে এর গরম ভাবটি আপনার জন্য উপকার হবে। আপনি ইচ্ছে করলে এর সাথে লেবু মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।

খালি পেটে লবঙ্গ খেলে কি হয় তা জানুন

আপনি যদি মনে করেন লবঙ্গ দিয়ে চা বানানো নিয়ম ও সাথে উপকারিতা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন তবে তার পাশাপাশি খালি পেটে লবঙ্গ খেলে কি হয় তা সম্পর্কেও ভালোভাবে জেনে নিন। সচরাচর আমরা সকলেই মাইগ্রেশন নামক একটি মাথাব্যথায় আক্রান্ত হয়ে পড়ছে দিন দিন।

বিশেষ করে মহিলারা সারাদিন কাজের চাপে নানা ধরনের চিন্তা রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছেন। যার কারণে অল্পতেই তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এরকম অবস্থায় আপনি যদি নিয়ম করে প্রতিদিন খালি পেটে লবঙ্গ খেতে পারেন তাহলে বেশ উপকার পাবেন। বিশেষ করে আমাদের মধ্যে যাদের মাথা ব্যথা বেশি পরিমাণে হয়ে থাকে।

আপনি যদি মাইগ্রেশনের ব্যথাতে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে প্রতিদিন খালি পেটে লবঙ্গ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। এতে করে এই মাইগ্রেশন এর ব্যথা থেকে নিজেকে খুব সহজে সুস্থ করতে সক্ষম হবেন। এছাড়াও লবঙ্গে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাঙ্গাইজ যা আমাদের শরীরের হাড়ের ক্ষয় রোধ করতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে।

ত্বকের যত্নে লবঙ্গের ব্যবহার

লবঙ্গ দিয়ে চা বানানোর নিয়ম ও চারটি উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন এবং পাশাপাশি ত্বকের যত্নে লবঙ্গের ব্যবহার সম্পর্কেও জানার চেষ্টা করুন। লবঙ্গে তেলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিসেপটিক গুণাগুণ বিদ্যমান রয়েছে। যার কারনে আমাদের ত্বকে ব্রণ সৃষ্টিকারী ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া গুলোকে ধ্বংস করতে লবঙ্গ ভূমিকা পালন করে।

ত্বকের-যত্নে-লবঙ্গের-ব্যবহার


এছাড়াও লবঙ্গে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান যেগুলো আমাদের ত্বকের ব্রণের দাগ ও বিভিন্ন দাগ চোখ দূর করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দেখা যায় আমাদের মধ্যে অনেকের বয়সের ছাপ পড়ে যায় চোখে মুখে এগুলো দূর করতে লবঙ্গ তেল গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসেবে কাজ করে।

আরো পড়ুনঃ  পিপুল শাকের ব্যবহার ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

আপনি যদি নিয়মিত লবঙ্গ তেল আপনার ত্বকে কিছু সময় ধরে মালিশ করতে পারেন তাহলে দেখবেন আপনার ত্বকের পুরনো জেলা খুব দ্রুতগতিতে ফিরে আসবে। লবঙ্গ তেল প্রাকৃতিক ভাবে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে থাকে। এছাড়াও অনেকের ত্বকে নানা ধরনের বলিরেখা সৃষ্টি হয় এগুলো দূর করতে লবঙ্গ তেল খুবই উপকারী।

লবঙ্গ তেল তৈরি করার নিয়ম

লবঙ্গ তেল তৈরি করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানার পাশাপাশি অবশ্যই লবঙ্গ দিয়ে চা বানানোর নিয়ম ও সঠিক উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করব আমরা। লবঙ্গ তেলকে সাধারণত লবঙ্গ তেল হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়ে থাকে। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ তেল যা লবঙ্গ উদ্ভিদ থেকেও উৎপন্ন করা হয়ে থাকে।

লবঙ্গ তেলকে সাধারণত অ্যারোমা থেরাপিতে বিশেষভাবে ব্যবহার করা হয় এছাড়াও খাবার, টুথপেস্ট এর সাদের জন্য লবঙ্গ তেল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। পাশাপাশি চায়ের ক্ষেত্রেও লবঙ্গ তেলের ব্যবহার অপরিহার্য। তেল সাধারণত লবঙ্গ উদ্ভিদের সিজিয়াম ও অ্যারোমাটিকাম থেকে উৎপাদন করা হয়ে থাকে।

লবঙ্গ তেল তৈরি করার জন্য সাধারণভাবে ব্যবহার করা নারকেল তেলের সঙ্গে কিছু পরিমাণ লবঙ্গ মিস করে এগুলো দীর্ঘ দীর্ঘ সময় ভিজিয়ে রাখুন। এরপর সম্পূর্ণভাবে এগুলো ভিজিয়ে গেলে একটি পাত্রে সংরক্ষণ করুন। এভাবে খুব সহজে আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে লবঙ্গ তেল তৈরি করে নিতে পারবেন।

শরীরের বিভিন্ন রোগ দূর করতে লবঙ্গ চায়ের ভূমিকা

আমরা শরীরের ক্লান্তি দূর করার জন্য কমবেশি সকলেই চা খেয়ে থাকে। তবে এর চা খাওয়ার সময় এমন কিছু উপাদান মিশিয়ে যদি চা পান করতে পারি তাহলে খুব সহজে শরীর থেকে বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেই রকমই একটি বিশেষ উপাদান মসলা হতে লবঙ্গ।

আপনি যদি ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন। সেক্ষেত্রে আপনি চা খাওয়ার সময় অবশ্যই চায় এর মধ্যে কিছুটা পরিমাণ হলেও লবঙ্গ মিস করে এর স্বাদ অনুভব করেন। কারণ লবঙ্গ চা খাওয়ার ফলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে। কম বর্তমানে আমরা যারা ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে তারা তো চা খেতে ভুলে যায় কেননা চিনি ছাড়া মনে করি চা খেতে ভালো লাগে না।

শরীরের-বিভিন্ন-রোগ-দূর-করতে-লবঙ্গ


অন্যদিকে আপনি যদি নিয়ম করে লবঙ্গ চা খেতে পারেন তাহলে আপনার অতিরিক্ত ওজন দ্রুত গতিতে রাস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অন্যদিকে সকালে খালি পেটে নিয়ম করে লবঙ্গ চা পান করার ফলে আপনার দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। পাশাপাশি আপনার শরীরকে সুস্থ স্বাভাবিক রাখবে।

ভারী খাবার পরে লবঙ্গ চা খাওয়ার উপকারিতা

আপনি যদি খাওয়ার সময় অতিরিক্ত খাবার খেয়ে নিয়ে থাকেন সে ক্ষেত্রে দেখা যাবে চলাচল বা আপনার শরীরের জন্য সমস্যা সৃষ্টি হয়ে গেছে। এমন সবাই লবঙ্গ চা তৈরি করে খুব দ্রুত গতিতে এক কাপ খেয়ে নিতে পারেন এতে করে আপনি যে সকল ভারী খাবার খেয়ে থাকবেন তা দ্রুত গতিতে হজম শক্তি বৃদ্ধি করে দিবে।

আবারো অনেক সময় হঠাৎ করে অতিরিক্ত খাবার বা গ্যাস্ট্রিকের কারণে আমাদের পেট ফাঁপা সমস্যা সৃষ্টি হয়ে যায় এক্ষেত্রে যদি আপনি শুধু লবঙ্গ বা লবঙ্গ চা তৈরি করে খেতে পারেন তাহলে খুব দ্রুত গতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ হিসাবে এটি কাজ করবে। খুব তাড়াতাড়ি পেট ফাঁপা থেকে আপনাকে মুক্তি প্রদান করবে।

আরো পড়ুনঃ  দুধিয়া গাছের পরিচিতি ও উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন

এছাড়াও ভাড়া পেটে লবঙ্গ চা খেলে খুব দ্রুত গতিতে হজম শক্তি বাড়ে এবং পাশাপাশি শরীরের মধ্যে নানা ধরনের প্রদাহ বিরোধী ব্যথাগুলো থেকে মুক্ত করতে ভূমিকা রাখে। আর অন্যদিকে আপনি যদি ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে খাবার খাওয়ার পর লবঙ্গ চা খেলে তা ইনসুলিন্স হিসেবে আপনার শরীরে কাজ করতে সাহায্য করবে।

৭টি উপকারিতা লবঙ্গ চা খাওয়ার

আমরা এতক্ষন আর্টিকেলটি জুড়ে কিভাবে লবঙ্গ চা বানাতে হয় লবঙ্গ চা খাওয়ার নিয়ম ও গুনাগুন সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। আশা করি আপনারা এতক্ষণ আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে খুব সহজে খালি পেটে ও খাবারের পর লবঙ্গ চা খেলে কি কি উপকার পাওয়া যায় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ও বুঝতে পেরেছেন।

চলুন এবার তাহলে আপনাদেরকে বিস্তারিত আলোচনার মাধ্যমে লবঙ্গ চা খাওয়ার সাথে উপকারিতা সম্পর্কে বোঝানোর চেষ্টা করব। সেজন্য অবশ্যই আপনাদের সম্পূর্ণ মনোযোগটি আমার এই আর্টিকেলটির মধ্যে দিতে হবে। হয়তো আর্টিকেলটির পড়া মাধ্যমে আপনি লবঙ্গ চা সম্পর্কে অনেক কিছু তথ্য জানতে পারবেন।

সেজন্য অবশ্যই আপনি আর্টিকেলটি পড়ার সময় অন্যদিকে মনোযোগ না দিয়ে এই আর্টিকেলটি গুরুত্ব সহকারে পড়ুন এবং অন্যকে লবঙ্গ চা খাওয়াতে আগ্রহী করে তুলুন। চলুন তাহলে নিম্নে লবঙ্গ চায়ের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেয়া যাক।

  • লবঙ্গ চা আদার সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ রাখতে মুখ্য ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও রক্ত পরিশোধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • আপনি যদি নিয়মিত লবঙ্গ চা খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরে বিভাগের হার বৃদ্ধি করবে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
  • ক্যান্সার প্রতিরোধের জন্য লবঙ্গ চা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আপনি যদি বাত রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রেও লবঙ্গ চা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  • অনেক সময় দেখা যায় আমাদের দাঁতের মাড়ি ব্যথা করে দাঁতের গোড়াদের রক্ত ঝরে এই সকল রোগের সমস্যার সমাধান করতে লবঙ্গ চা খুবই জরুরী একটি উপাদান।
  • হঠাৎ করে আপনি যদি সর্দি জ্বর কাশিতে আক্রান্ত হয়ে থাকেন তাহলে লবঙ্গ চা খাওয়ার ফলে খুব দ্রুত গতিতে আরাম পাওয়া যায়
  • লবঙ্গ চায়ে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে এটি আমাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দ্বিগুণ কোন বৃদ্ধি করে।
  • লবঙ্গ চা নিয়মিত খাওয়ার ফলে হজম শক্তি উন্নত হয়।
  • লবঙ্গ চার খালি পেটে খেলে মাথার মাইগ্রেনের ব্যথা থেকে নিজেকে মুক্তি রাখা যায়।
আশা করি আপনারা লবঙ্গ চা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ও বুঝতে পেরেছেন। আপনি যদি এ সকল সমস্যায় ভুগে থাকেন সেক্ষেত্রে প্রাথমিক চিকিৎসা হিসাবে ঘরোয়াভাবে লবঙ্গ চা খেয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেতে পারেন।

লবঙ্গ চা খাওয়ার অপকারিতা

এতক্ষণ আমরা লবঙ্গ চা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানলাম। তবে একটা কি যে কোন জিনিসের উপকারিতা থাকার পাশাপাশি অবশ্যই কিছুটা পরিমাণে হলেও অপকারিতা রয়েছে। ঠিক লবঙ্গ চা এর ক্ষেত্রেও তাই। লবঙ্গ চা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা জানার পাশাপাশি অবশ্যই আমাদেরকে অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিতে হবে।

চলুন তাহলে এবার লবঙ্গ চা খাওয়ার কিছু অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক।
  • আপনার শরীরে যদি সুগারের মাত্রা কম থাকে সে ক্ষেত্রে অতিরিক্ত লবঙ্গ খাওয়া আপনার জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হবে।
  • কেউ যদি এলার্জিজনিত সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই লবঙ্গ খাওয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে।
  • আবার দেখা যাচ্ছে যে উত্তর রক্তচাপ এর মাত্রা বেশি থাকলে বেশি পরিমাণে লবঙ্গ চা খেলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • আমাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত লবঙ্গ মুখে নিয়ে থেকে যান এমন করে থাকলে সমস্যা সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
  • দাঁতের ব্যথা ও রক্ত পড়া ক্ষেত্রে লবঙ্গ চা ব্যবহার করলে হালকা গরম ব্যবহার করতে হবে অতিরিক্ত ঠান্ডা বা গরম ব্যবহার করলে দাঁতের মাড়ির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
আশা করি আপনারা লবঙ্গ চা খাওয়ার অপকারিতা সম্পর্কে বুঝতে পারলেন। একটা কথা কি আমাদের সকলের জানা উচিত যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত কোনদিন ইস ব্যবহার করলে এটি ভালোর চেয়ে ক্ষতি বেশি করে থাকে। ঠিক লবঙ্গের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা।

লবঙ্গ চা খাওয়ার নিয়ম ও ৭ টি উপকারিতা সম্পর্কে লেখক এর শেষ মন্তব্য

আজকের এই আর্টিকেলটিতে আমি লবঙ্গ চা খাওয়ার নিয়ম ও  ৭ টি উপকারিতা সম্পর্কে র বিস্তারিত আলোচনা করতে গিয়ে লবঙ্গ চা এর গুনাগুন ও বানানোর নিয়ম সম্পর্কে আপনাদেরকে জানানোর চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি লবঙ্গ চা ত্বকের জন্য ও কতটুকু গুরুত্বপূর্ণ তা সম্পর্কে ও খালি পেটে লবঙ্গ চা খেলে কি হয় বলার চেষ্টা করেছি।

লবঙ্গ চা খাওয়ার উপকারিতার পাশাপাশি অপকারিতা সম্পর্কে কিছুটা ব্যাখ্যা দেয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করেছি। মানুষ মাত্রই ভুল যদি আজকের এই আর্টিকেলটি লেখার মধ্যে কোন ধরনের ভুল শব্দ বাবাকে করে থাকলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
Click Here

আজকের এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে যদি উপকৃত হতে পারেন তাহলে অন্যদের সাথে শেয়ার করেও তাদেরকে উপকৃত হওয়ার সুযোগ করে দিন। আজ এ পর্যন্ত আবার দেখা হবে এ ধরনের কোন একটি ব্লগ এর মাধ্যমে। সে পর্যন্ত সকলে ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন এবং সাথে থাকুন।

আল্লাহ হাফেজ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

ওয়েম্যাক্স আইটিরনীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url